শাহজাদী খাতুন দাশিয়ারছড়ার মেয়ে। গঙ্গারহাট গালর্স স্কুলে পড়াশোনা শেষে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিং এ অনার্স, মার্স্টাস করেন শাহজাদী খাতুন।
কিন্তু এই পড়াশোনা তাকে করতে হয়েছে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে কারণ তিনি ছিলেন ছিটমহলের বাসিন্দা।
অনেক কষ্ট করে পড়াশোনাটা শেষ করতে পারলেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তিনি করতে পারছিলেন না কারণ ছিল একটাই- ছিটমহলের বাসিন্দা তিনি।।
২০১৫ সালের ১লা অগাস্ট বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় খুলে দেয় শাহজাদীর কপাল।
সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের নাগরিক হবেন। আর তাঁর জন্মস্থান দাশিয়ারছড়াতে কিছু একটা করবেন।
এক বছরে তিনি নিজের জমির উপর গড়ে তুলেছেন একটি স্কুল।
কালিরহাট বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েরা ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রের্ণী পর্যন্ত পড়তে পারে।
সম্পূর্ন নিজের চেষ্টায় তিনি এই বিদ্যালয়ের কাজ করছেন।
গ্রামের শিক্ষিত বেকার যারা ছিলেন তাদেরকে করেছেন এই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা।
স্কুলের মোট ছাত্রী ৭৫ জন।
শাহজাদীর স্বপ্ন স্কুলকে আরো বড় করার।
সাবেক এই ছিটমহলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়াটাই তাঁর এখন স্বপ্ন।
শাহজাদী খাতুন বলছিলেন “কোন দিন যে নিজের আসল পরিচয়ে কাজ করতে পারবো সেটা ভাবতেও পারিনি”।
বিবিসি