sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

এক নজরে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ছিলেন ব্যবসায়ী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। নিউইয়র্কের কুইন্সে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
জন্ম: ১৯৪৬ সালের ১৪ জুন, নিউইয়র্কের জ্যামাইকা হসপিটাল মেডিকেল সেন্টার।
বাবা-মা: বাবা আবাসন ব্যবসায়ী ফ্রেডরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্প ও মা স্কটিশ বংশোদ্ভূত ম্যারি অ্যান ম্যাকলিউড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাদা ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন।
শিক্ষা: ট্রাম্প নিউইয়র্ক মিলিটারি একাডেমিতে স্কুলজীবন শেষে প্রথমে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দুবছর পর সেখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির হোয়ার্টন স্কুল অব ফিন্যান্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পরিবার: ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প (১৯৭৭-১৯৯২)। ইভানার ঘরে ট্রাম্পের তিন সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, ইভানকা ট্রাম্প ও এরিক রয়েছেন। ইভানার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ১৯৯২ সালে বিয়ে করেন মারলা ম্যাপলসকে (১৯৯৩-১৯৯৯)। মারলার ঘরে রয়েছে এক সন্তান টিফানি। বিচ্ছেদের প্রাক চুক্তি হিসেবে ট্রাম্প তাঁকে ২ মিলিয়ন ডলার দেন। ২০০৫ সালে ট্রাম্প তাঁর চেয়ে প্রায় ২৩ বছরের ছোট স্লোভেনীয় বংশোদ্ভূত মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। তাঁদের বিয়ের সেই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন অতিথি ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন: রাজনীতিতে আসার আগে আবাসন ব্যবসায়ী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি ছিল ট্রাম্পের। তবে কয়েকবার রাজনৈতিক অবস্থান বদল করেছেন তিনি। ১৯৮৭ সালে তিনি নিবন্ধিত রিপাবলিকান ছিলেন। দুই বছর পর ১৯৮৯ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে এবং ২০০১ সালে তিনি ডেমোক্র্যাট হিসেবে নিবন্ধিত হন। তবে এর আগে ২০০০ সালে রিফর্ম পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেন। ২০০৯ সালে আবার রিপাবলিকান শিবিরে ফিরে আসেন। এর মধ্যেও ২০১১ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিলেন। চূড়ান্তভাবে তিনি ২০১২ সালে রিপাবলিকান দলে ফিরে আসেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিট রমনির প্রতি সমর্থন জানান।
নির্বাচন ও প্রেসিডেন্ট: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেকটা আকস্মিকভাবে আমেরিকার রাজনীতিতে ট্রাম্পের আবির্ভাব। রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারিতে টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ সরে দাঁড়ালে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের চূড়ান্ত মনোনয়নের পথ খুলে যায়। পরে নির্বাচনে সব জনমত জরিপ ও গণমাধ্যমের হিসাব-নিকাশকে ভুল প্রমাণ করে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পপুলার ভোটে তিনি হিলারি থেকে প্রায় ২৯ লাখ ভোটে পিছিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল কলেজের জটিল হিসাব তাঁর জন্য হোয়াইট হাউসের দরজা খুলে দেয়। এবারও ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের প্রার্থী। সুত্র : প্রথমআলো

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button