sliderখেলা

একটা নয়, কোহলির হাতছাড়া দুটি

রোববার কেবল আইপিএল শিরোপাই হাতছাড়া হয়নি বিরাট কোহলির। আরেকটি মাইলফলক থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। সেটা হলো ব্যক্তিগত হাজার রান সংগ্রহ। দুটি ক্ষেত্রেই তীরে এসে তার তরী ডুবেছে।

তার দুর্দান্ত ব্যাটিং সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল। হাজার রানের মাইলফলক পৌছাতে শেষ দুই ইনিংসে প্রয়োজন ছিল ৮১. বিরাট কোহলি করতে পারলেন ‘মাত্র’ ৫৪. একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ১ হাজার রানের অভাবনীয় কীর্তির খুব কাছে গিয়েও তাই পারলেন না বেঙ্গালুরুর রান মেশিন।

তবে যা করেছেন, সেটিও অবশ্য কম বিস্ময়কর নয়। টুর্নামেন্ট শেষ করলেন ১৬ ইনিংসে ৯৭৩ রান নিয়ে। বল খেলেছেন মাত্র ৬৪০টি। স্ট্রাইক রেট ১৫২.০৩, গড় ৮১.০৮. অবিশ্বাস্য সব পরিসংখ্যান!

এবারের আইপিএল শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি শতক ছিল না একটিও। সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন এক আসরেই রেকর্ড ৪টি শতক করে; পাশে অর্ধশতক ৭টি।

টি-টোয়েন্টিতে এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন আগেই। ২০১২ আইপিএলে ক্রিস গেইল ও ২০১৩ আইপিএলে মাইক হাসির ৭৩৩ রানের যৌথ রেকর্ড অতীত হয়ে যায় কোহলির ব্যাটে। কোহলি এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাজার রানের দিকে।

বিসিসিআই শেষ চারের লড়াইয়ের আগেই কোহলি পেরিয়ে গিয়েছিলেন ৯০০ রান (৯১৯). প্রায় অসম্ভব মাইলফলকটিকে স্পর্শ করা মনে হচ্ছিলো খুবই সম্ভব। তবে কোয়ালিফায়ারে আউট হয়ে যান শূন্য রানেই। টি-টোয়েন্টিতে ৫১ ইনিংস পর সেটি ছিল কোহলির প্রথম শূন্য!
সেই কোয়ালিফায়ার জিতে যায় বেঙ্গালুরু। ফাইনালে হাজার ছুঁতে কোহলির প্রয়োজন ছিল ৮১. করতে পারলেন ৫৪. সবশেষ দুই ম্যাচেই হলেন ‘প্লেড অন’. কোয়ালিফায়ারে ধাওয়াল কূলকার্নির অনেক বাইরের বল টেনে এনেছিলেন স্টাম্পে। ফাইনালে বারিন্দর স্রানের লেংথ বল এক্সট্রা কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টেনে এনেছেন স্টাম্পে।

মাইলফলক স্পর্শ করার চেয়েও কোহলির তখন উইকেটে থাকা বেশি প্রয়োজন ছিল দলের জন্য। অধিনায়ক পারেননি। ফাইনাল জয়ের কাছে গিয়ে পারেনি তার দলও।

তবে টুর্নামেন্টজুড়ে তার অতিমানবীয় ব্যাটিংটাই নিশ্চিত ছাপ রেখে যাবে অনেক দিন। শেষের আক্ষেপের পরও হয়ত তাই এবারের আইপিএলকে কখনোই ভুলতে পারবেন না কোহলি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button