sliderস্থানীয়

“একজন জীবন্ত কিংবদন্তি” মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : প্রতিশুক্রবার সবুজ-শ্যামল ছায়া ঘেরা নিজ গাঁয়ে একটি লোক সাবলীল ভাবে পায়চারী করে বেড়ায়। কথা বললে বলে যায়, ছালাম দিলে ফিরে চায়, হাত বাড়ালে হাত মিলায়। পৃত্রিতুল্য সুদর্শন চেহারার মানুষটি, লোকজন পেলে কথা বলতেই থাকে, অনর্গল সব কিছু বলে যায়। নির্মোহ সময় কাটায়।শিরোনামেই জেনারেল সুবিদ আলী ভূইয়ার নাম উল্লেখ করেছি।তার কথা প্রথম দশ মিনিট শোনলে মনে হবে, লোকটি বয়সের কারনে এলোমেলো কথা বলছেন। এক ঘন্টা সময় কাটালে মনে হবে, সে সাদা মনের মানুষ। আর দিনের পুরোটা সময় কাটাতে পারলে যে কেউ স্বীকার করবে, তিনি একজন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক। মানুষের জীবনধারা বদলে দিতে যে ক’জন এমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, জেনারেল ভূঁইয়া তাদের অন্যতম।তিনি একাধারে একজন সিনিয়র সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এবং বাংলাদেশের অনবদ্য গ্রাম উন্নয়ন মডেল “জুরানপুর কমপ্লেক্স” এর প্রতিষ্ঠাতা। কথায় তার কোনো রাগঢাক নেই, নেই বাহুল্যতা।সবকিছু সুন্দর দিয়ে বিবেচনা করেন, সুন্দর করে তুলেন। দাউদকান্দির রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালেই এর প্রামাণ মিলে। দলে দলে দলাদলি, তলে তলে কোলাকুলি এসব তিনি নিকৃষ্ট মনে করেন। যারা এসব করেন, তাদের তিনি অপছন্দ করেন। এরিয়ে চলেন। তার কাছে জনগণের প্রত্যাশা একটি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তিনি তাই করে যাচ্ছেন।জেনারেল ভূঁইয়া উন্নয়ন ভালোবাসেন।তার মতে পথ-ঘাট, বাজার-হাট পরিপাঁটি থাকতে হবে। বিরোধী পক্ষের বাড়িতেও রাস্তা যেতে হবে। কেবল নির্বাচনের আগে রাজনীতি, বাকী সময় সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে।তিনি চাঁদাবাজি বুজেন না, মাশোয়ারা নেন না। অলিতে-গলিতে কর্মিদের লেলিয়ে দেন না। জেনারেল ভূঁইয়ার গত তিন মেয়াদে দাউদকান্দিতে বিরোধী পক্ষকে অযথা মামলা-হামলায় হয়রানী করা হয়নী। এ কারনে বিরোধী পক্ষের একজনকেও পাওয়া যাবে না সুবিদ আলী ভূঁইয়া সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে।তিনি অযাচিত অমুলক কথা বলেন না, নীরবে কাজ করে যান। তার সময়ে দাউদকান্দি এবং মেঘনার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট এবং স্কুল-কলেজের অবকাঠামো নির্মাণে শতভাগ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।জেনারেল ভূঁইয়া চাইলে লন্ডন কিংবা আমেরিকা পাড়ি জমাতে পারতেন। সেখানে তার ছেলেরা থাকেন। অন্যদের মতো সেখানে বাড়ি কিনতে পারতেন। তিনি তা করেননি। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছুঁটে যান তার প্রিয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তিনি তিলে তিলে স্বপ্ন সাঁঝিয়েছেন। তার প্রিয় গ্রাম জুরানপুরকে একটি মিনি ক্যান্টনমেন্ট এর আদলে তৈরি করেছেন। গড়ে তুলেছেন সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ, মাাসা, এতিমখানাসহ নানান প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা লাভ করার সুযোগ পায়। প্রশান্তিতে মন ভরে যায় জুরানপুর কমপ্লেক্স এ পা রাখলে!জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।সংসদ সদস্য হিসেবে দাউদকান্দি -মেঘনার জনগণের কাছে এখনো তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়, গ্রহনযোগ্য এবং আস্থাবান মানুষ, যা পার্শ্ববর্তী সকল এমপিদের জন্য অনুকরণীয় উদাহারন সৃষ্টি হয়েছে। লেখক মুক্ত কলামিষ্ট মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button