sliderস্থানীয়

একজন খ্রিস্টিনা দাসের রত্নগর্ভা মায়ের সম্মাননা অর্জন 

নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন মিসেস খ্রিস্টিনা দাস। পেশায় গৃহিণী। চারজন সফল সন্তানের মা। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খেতাব পেয়েছেন রত্নগর্ভা মায়ের। তার জীবন-কর্ম ও সন্তানদের পেছনে শ্রম এনে দিয়েছে এই বিশেষ সম্মাননা।  

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমতদাপ খ্রীষ্টানপাড়া যুব সংঘের আয়োজনে রত্নগর্ভা মা মিসেস খ্রিস্টিনা দাসকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

খ্রীষ্টানপাড়া যুব সংঘের আয়োজনে সংগঠণের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু দাসের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সুকুমার বাবু দাসের সভাপতিত্বে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সংগঠন এবং গ্রামবাসীর পক্ষে মিসেস খ্রিস্টিনা দাসকে সম্মাননা প্রদান করেন গ্রাম প্রধান মি.শিরিল দাস এবং সিস্টার লিলি আন্না ও সিস্টার পিরিনা দাস।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মি.পিতর দাস, খ্রীষ্টানপাড়া যুব সংঘের সাবেক সভাপতি সিলবানুস (শিবু দাস), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মি.পবিত্র দাস, ধর্মীয় প্রচারক মি.সুপেন মাস্টার, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা মি. কারলুস দাস, ছাত্র-শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

রত্নগর্ভা মা মিসেস খ্রিস্টিনা দাস আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ইউনিয়নের স্বর্গীয় সিমন দাসের সহধর্মিণী।

গর্বিত এ মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।

তার সর্বকনিষ্ঠ ছেলে মাকারিয়াস দাস ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার গুলশান বিভাগে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অগ্রজ মি.প্রদীপ এল দাস বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সমবায় সমিতি দি খ্রিস্টান কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: ঢাকা এর ম্যানেজার। বাকি দুই মেয়ে সফলতার সাথে সংসার ধর্ম পালন করে আসছেন।

সন্তানদের এবং নিজের মেধা বিবেচনায় গ্রাম পর্যায়ে তিনি সফল জননী হিসেবে ‘রত্নগর্ভা’- সম্মাননা অর্জন করেন। নাতি ও ছেলে-মেয়েদের সাফল্যে তার মুখে ফুটে ওঠে আত্মতৃপ্তির জৌলুশ৷

এখন তিনি ৭০ পেরিয়ে ৭৫ অতিক্রম করছেন। এ বয়সেও যেন তিনি তৃপ্তির মহিমায় উজ্জ্বল একজন সফল জননী। এর আগেও ২০১৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকাস্থ পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক ‘রত্নগর্ভা’ মা হিসেবে ভূষিত হন। তিনি এখন সবার কাছে রত্নগর্ভা ‘মা’ হিসেবে পরিচিত।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button