আজ বসন্ত। শীতকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতিজুড়ে আজ সাজ সাজ রব। কেননা আজ পহেলা ফাল্গুন। গাছে গাছে নতুন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত। গাছের ডালে ডালে পাখির কলরবে মুখরিত চারিপাশ। তাই বসন্তের আগমনি বার্তা নিয়ে শিমুল গাছে পাখির ফুলের রেণু স্পর্শের চেষ্টার ছবিটি গতকাল রোববার সকালে উপজেলার সাহেবেরচর এলাকা থেকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন আমাদের হোসেনপুর উপজেলা সংবাদদাতা জাহাঙ্গীর আলম –
আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। সব অতীত পেছনে ফেলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে বর্ণিল সাজে আজ থেকে বদলে যাবে প্রকৃতি। আর কবির ভাষায় জানান দেবে ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।
ভোরের আলো ফুটার সাথে সাথেই নগরবাসী শীতকে বিদায় জানাতে বসন্ত বরণে মেতে উঠবে। তাতে বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণতা। সকাল থেকেই ভিড় শুরু হবে ফুলের দোকানগুলোতে। ভোর থেকে জেগে উঠবে বসন্তের প্রধান উৎসবস্থল চারুকলার বটতলা।
বসন্তকে সামনে রেখে গ্রামবাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সাথে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল শাহবাগ ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চেয়ে বিক্রেতারা ফুলের দামও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ উৎসব ঘিরে বসে নেই ফ্যাশন হাউজগুলোও। ফাল্গুন-ভ্যালেনটাইন ঘিরে তারা থ্রি-পিস, কেপ টপ, কাফতান, কুর্তি, শর্ট টপ, ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টিশার্ট, ডাই শার্টসহ সব ধরনের পোশাকে নানা রঙের মিশ্রণে তুলে ধরেছে বসন্তের বার্তা। এ ছাড়া হলুদ, সবুজ, কমলা, বেগুনি, জলপাই, লালসহ বিভিন্ন রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের বসন্ত আয়োজন। মাথায় রাখা হয়েছে সব বয়সী মানুষের কথা। লিনেন, কটন, সিল্ক ও ভয়েল কাপড়ে ফুলেল ও জ্যামিতিক মোটিফে পোশাকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে।
বসুন্ধরা সিটিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গোলাপ ফুলের সমাহারে তৈরি হয়েছে গোলাপের টাওয়ার। যেখানে ভিড় করছেন সেলফিপ্রেমীরা। এ ছাড়া এখানে মনোমুগ্ধকর ফটো বুথ স্থাপন করেছে ইয়ামাহা। প্রিয় মানুষকে গোলাপ ফুল দিয়ে ভালোবাসা জানানো হয়। এ জন্য ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ইয়ামাহার পক্ষ থেকে বানানো হয়েছে এই গোলাপ টাওয়ার।