sliderরাজনীতি

উৎপাদন ও অগ্রগতির স্বার্থে শ্রমিককে আইন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি প্রদানের ব্যবস্থা নিন-এনডিএ

উৎপাদন ও অগ্রগতির প্রধানতম সহায়ক শক্তি হচ্ছে শ্রমিকশ্রেণী। শ্রমিকশ্রেণী হাত না লাগালে সমাজ থমকে যেতে বাধ্য। অথচ, এই শ্রমিকশ্রেণীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়সঙ্গত মজুরি প্রদানে ধনিক-বণিকশ্রেণী ও সমাজপতিদের যত অনিহা। যা কোন অবস্থাতেই সমাজের প্রগতির জন্য সহায়ক নয়। আজ থেকে ৭৪ বছর পূর্বে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে প্রস্তাবনা করেছে তা আজও আমাদের দেশে বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও শ্রমিকশ্রেণীকে অনেক ক্ষেত্রেই পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশ আইএলও-এর অন্যতম সদস্য হওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধি আইএলও-এর ২৬তম অধিবেশনে ১৯৪৫ সনে গৃহিত সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এর উদ্যোগে রিপোর্টার ইউনিটির ৩য় তলাস্থ স্বাধীনতা হলে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে এনডিএ চেয়ারম্যান শ্রমিকনেতা আলমগীর মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অ্যাড. খায়রুল আহসান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- এনডিএ’র মহাসচিব আবুল হাছানাত, যুগ্ম-মহাসচিব খন্দকার মাজহার-উল-ইসলাম ও মীর্জা আমিন আহমেদ, মাস্টার মোখলেছুর রহমান, কৃষিবিদ ড. আলমগীর, আবদুল কাদের জিলানী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শহীদুল্লাহ, শেখ নাসির, অ্যাড. শীলা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় সম্মানিত আলোচবৃন্দ শ্রমিকশ্রেণীকে উৎপাদনের ব্যবস্থাপনায় অংশীদারিত্ব প্রদান এবং সভ্য মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সর্বস্তরের শ্রমিকশ্রেণীর জন্য সংসদে আইন পাশ করে ‘জাতীয় ন্যূনতম মজুরি’ প্রদানের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে শ্রমিকশ্রেণীর জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিয়েছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button