বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম সম্প্রতি তাঁর হেয়ারকাট বদলেছেন। চুল ছোট করেছেন। এখন তাঁর পিঠ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে না! আর এতেই খুশি ইয়ামি। কেননা ছোট চুল পছ্ন্দ তাঁর। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্যখানে। নায়িকাদের তো কত রকম সাজ করতে হয়—কখনো চুল ছোট, কখনো বড়, আবার কখনো পরচুলাও লাগাতে হয়।
যাহোক, ইয়ামির বাবা প্রথমে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন। এ আসল চুল, না কি পরচুলা? যাহোক, নতুন হেয়ারকাটে নাখোশ হয়েছেন তিনি। তাঁর পছন্দ বড় চুল। তবে নতুন এ লুক ইয়ামির আসন্ন ছবি ‘উরি’র প্রয়োজনে। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন ভিকি কুশল।
তবে বলিউড সুন্দরী এখন আর লম্বা চুল মিস করছেন না। ‘যেদিন লম্বা চুল বেঁটে করলাম, সেদিন সত্যিই মিস করেছিলাম। কারণ চুল ছোঁয়া আমার অভ্যাস। কিন্তু এখন আমি এর সঙ্গে পরিচিত। আমার মা ও বোন ছোট চুল পছন্দ করে। কিন্তু ছোট চুলের আমাকে মেনে নিতে বাবার সময় লেগেছিল’, বলেন ইয়ামি।
‘সাত বছর বয়সে একবার এমন করে ছোট চুল করেছিলাম। তাই যখন বাবা আমার ছোট চুলের ছবি দেখল, ভেবেছিল, আমি বোধহয় পরচুলা পরেছি। বাবা আমাকে বলল, এটা সত্যিকার চুল কি না। আমি বললাম, হ্যাঁ। সাথে সাথে তাঁর মুখ শুকনো হয়ে গিয়েছিল। তবে সবাই যখন বলা শুরু করল, ছোট চুলে আমাকে কিউট লাগছে; তখনই বাবা খুশি হলো’, হাসতে হাসতে বললেন ইয়ামি।
সম্প্রতি ইয়ামি গৌতম অভিনীত ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। এ ছবিতে তিনি আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ইয়ামি জানান, ছবির লুক আনতে তাঁর হেয়ারড্রেসারকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল।
‘‘ছোট চুলের কারণে সত্যিই আমাকে সময় নিতে হয়েছিল। ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’র আগেই আমি ‘উরি’র শুটিং শুরু করেছিলাম। দুই ছবিতে আমার লুক সম্পূর্ণ আলাদা। আমার হেয়ারড্রেসারের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। সত্যিই তাদের ধন্যবাদ’, বলেন এ অভিনেত্রী।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’ ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন শহিদ কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর ও ইয়ামি গৌতম। দুইদিনে ছবিটি আয় করেছে ১৪ কোটি ৭২ লাখ রুপি।
ছবিটিতে উত্তর ভারতের একটি গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানকার মানুষ লোডশেডিংকে প্রত্যাশিত বলেই ধরে নেয়। প্রতিদিন লোডশেডিং। জীবনের সঙ্গে লোডশেডিং যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি আত্মহত্যা দৃশ্যপট পালটে দেয়। শুরু হয় প্রতিবাদ। এভাবেই ছবিটির কাহিনী এগোয়। এনটিভি।