ইরানে করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ৬, স্কুল-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বন্ধ

ইরানে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত ষষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ১২টির বেশি প্রদেশে স্কুল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মারকাজি প্রদেশের গভর্নর আলি আগাজাদেহ শনিবার বলেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর আরাক-এ সম্প্রতি মারা যাওয়া ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
তিনি আগে থেকেই হৃদ্রোগ জটিলতায় ভুগছিলেন বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা-কে জানান গভর্নর।
আলজাজিরা জানায়, এখন পর্যন্ত ইরানে ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে মৃত ছয়জন এদের মধ্যে ছিল কিনা তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
মৃত সবাই ইরানি নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের বাইরে এই ভাইরাসে ইরানেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
করোনাভাইরাসে রবিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২ হাজার ৪৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চীনেই মারা গেছেন ২ হাজার ৩৪৬ জন। শনিবার দেশটিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছে ১০৯ জন।
এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৬৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৩ হাজার ৯৩ জন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।