ইরানের ওপর আবারো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন বছর আগে ছয় বিশ্বশক্তির সাথে করা পরমাণু চুক্তির কারণে তেহরানের ওপর থেকে ওয়াশিংটন যেসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল, চলতি মাস থেকে সেগুলোই আবার আরোপ করা হচ্ছে।
পুরনো নিষেধাজ্ঞাগুলোই পুনরায় বহাল করা ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উল্লেখ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ থেকেই ইরান পরমাণু চুক্তির বিরোধীতা করে আসছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচিত হলে চুক্তি বাতিল করে ইরানকে কঠোর শাস্তি দিবেন।
হোয়াইট হাউস বলছে, এটি হতে যাচ্ছে ইরানের শাসকগোষ্ঠীর ওপর আরোপ করা ‘সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’।
যেসব খাতে এইসব নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে তার মধ্যে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ, বাণিজ্য, অর্থায়ন, ব্যাংক ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দেয়া এসব নিষেধাজ্ঞা সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।এবারের নিষেধাজ্ঞায় থাকছে সাতশরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, নৌযান ও উড়োজাহাজ। থাকছে বৃহৎ ব্যাংক, জাহাজ ও তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তেহরানকে ১২টি শর্ত বেধে দিয়েছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব নিষেধাজ্ঞায় খুব বেশি উদ্বিগ্ন নয় তারা।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই জেসিপিওএ চুক্তি অনুযায়ী, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টানার শর্তে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘ইরান এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছে এবং তার দেশের সামর্থ আছে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সামাল দেয়ার’।
তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জন করবে তার কোন সম্ভাবনা নেই।