
ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির পরাজিত মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ইভিএম প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, অনেক মেশিনে ধানের শীষ প্রতীকই রাখা হয়নি। এসময় ভোটারদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বক্তব্যের শুরুতে ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ব্যর্থতা স্বীকার করেন তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইশরাক হোসেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলন করছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ইঞ্জিনিয়ার ইসরাক হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সিটির পরাজিত প্রার্থী বলেন, কমিশন মনগড়া ও বানোয়াট ফলাফল ঘোষণা করে। এ নির্বাচনে ভোটারদের সাথে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের পালস বুঝতে পেরে ক্ষমতাসীনরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, কিন্তু তা না করে ভোট কারচুপি করেছে, এতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আমরা হতাশ হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের দিন নানা অনিয়ম, কারচুপি, পুলিশি হয়রানির অভিযোগের পক্ষে সংগৃহিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন ইসরাক হোসেন। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে এসব তুলে ধরেন তিনি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল হেরে যান আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলামের কাছে। আর দক্ষিণে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হেরে যান বিএনপির ইশরাক হোসেন। পরাজিত দুই মেয়র প্রার্থীই এরইমধ্যে ফল বর্জন করেছেন। এ নিয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি)সকাল-সন্ধ্যা হরতালও পালন করেছে বিএনপি।