আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা ইছামতি শাখা নদীতে দেশীয় ড্রেজার বসিয়ে দিবা-রাত্রি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনে ভয়াবহ ভূমি ধ্বসে ঘিওর-টেপরা আঞ্চলিক মহাসড়ক সহ নদী দু’পাশের বাড়িঘর ও ফসলী আবাদি বহু জমি ভাঙ্গনের কবলে হুমকির মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলহারা গ্রামের পশু চিকিৎসক মোঃ মিনার হোসেন এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের একশ্রেণীর দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ম্যানেজ করে দাপটের সাথে ড্রেজার চালিয়ে বালু উত্তোলন করে হাজার হাজার টাকা বিক্রি করছে। চৈত্র-বৈশাখের প্রচন্ড তাপদাহে নদী ও খালের পানি শুকিয়ে গেছে সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি-ঘর সহ বিভিন্ন খাল, পুকুর ভরাট করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ হলেও মিনার গং প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজেকে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দেদারছে দিনের পর দিন তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
ফুলহারা গ্রামের জনৈক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, ইছামতি শাখা নদী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলনের ফলে মাটির তলদেশে বিশাল জায়গা জুড়ে শূণ্যতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভূমি ধ্বস সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। ইতোমধ্যে ড্রেজার বসানোর ফলে চারপাশে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গ্রামটি। জীবনের ভয়ে মুখ ফুটে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারে না। ড্রেজার মালিক মিনার জানান, প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আমরা আমাদের নিজস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি। এতে কারো কোন ক্ষতি হলে আমার কিছু করার নেই।
বড়টিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াকুব হোসেন জানান, আমি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য বার বার নিষেধ করেছি। কিন্তু মিনার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে বলে আমাকে জানায়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সুমনা আল মজীদ জানান, ভূ-গর্ভস্থ্য বালু ও মাটি এভাবে উত্তোলন করা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি আমি অবগত। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।