sliderস্থানীয়

ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে এসে হামলার অভিযোগ

ঘিওর প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের ঘিওরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সেবা নিতে আসা ঘিওর বাজার ব্যবসায়ী বণিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মোঃ রহিজ উদ্দিন (৬০) কে চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মোঃ রহিজ উদ্দিন বুধবার রাতে ঘিওর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মোঃ রহিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা ষুগ্ন জজ আদালত থেকে আমার নামে একটি সাকশেসন পত্র আসে। সেই পত্রে আমি নিজে স্বাক্ষর করি এবং এলাকার চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রায়োজন হয়। আমি সেই স্বাক্ষর আনতে ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদে যাই। পরিষদের সামনে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে কথা বলছে। কথা বলা শেষ হলে আমি তাকে বলি ভাই আমার একটি সাকশেসন কাগজে স্বাক্ষর লাগবে। আজকে স্বাক্ষর দিয়ে কোর্টে জমা দিতে হবে। না দিলে আমার সমস্যা হবে। চেয়ারম্যান বলেন আমি আজকে স্বাক্ষর দিতে পারবো না । আমি তাকে অনেক অনুরোধ করে বলি ভাই আমার আজ মানিকগঞ্জ জজ কোর্ট থেকে লোক আসছে, এই স্বাক্ষর ২-৩ ঘন্টা আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকে এই কথা বলার সাথে সাথে চেয়ারম্যান আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং থাপ্তর দেয়ার চেষ্টা করে। আমি মুখ সরিয়ে নিলে সাথে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে হুমকির সুরে বলে শালাকে মেরে ফেল পরে যা হবে সেটা আমি দেখবো। চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুলসহ তার হুকুমে মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ শামীম (২৬) সহ ৪-৫ জন আমাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি মাটিতে পরে যাই। এসময় আমার বুকের পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা আলমগীর হোসেন ছিনিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আমাকে রক্ষা করে ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রহিজ উদ্দিন আমার কাছে সাকশেসন কাগজ নিয়ে আসলে আমি তাকে একটু অপেক্ষা করতে বলি। কিন্তু তিনি অপেক্ষা না করে আমার সাথে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পাশে থাকা আমার এক ছোট ভাই তাকে একটি ঘুষি মারে। আমি ছোট ভাইকে ধমক দিয়ে সমাধান করে দেই।
ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button