sliderঅপরাধশিরোনাম

‘আয়নাঘর ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার্স কমপাউন্ডেই অবস্থিত’

গুম সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেয়ার সময়সীমা আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীম দেয়া হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, আয়নাঘর ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার্স কমপাউন্ডেই অবস্থিত।

এর আগে দেশে গত সাড়ে ১৫ বছর অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার তদন্ত ও বিচারের জন্য প্রথমবারের মত গঠিত হয় ‘গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই কমিশনের কাজ শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি জানায়, ১৩ কার্যদিবসে মোট চার শ’ ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন কমিশনের কাছে, যার বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে র‌্যাবের বিরুদ্ধে।

এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

কমিশনের সদস্যরা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর ডিজিএফআইসহ মোট তিনটি সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে গোপন বন্দিশালার সন্ধান পেয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আয়নাঘর বা জয়েন্ট ইনটেরোগেশন সেল ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়র্টার্স কমপাউন্ডেই অবস্থিত।

তিনি বলেন, দুই তলা ভবনটির নিচতলায় ২০-২২টা সেল আছে। আর দ্বিতীয়তলা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হতো। এখন এগুলো ভ্যাকেন্ট (খালি)।’

ডিজিএফআই ছাড়া বাকি অন্য দু’টি সংস্থা হলো পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’ এবং ১ অক্টোবর ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছে বলে জানান কমিশনের প্রধান।

তবে ‘সেখানে কোনো বন্দির দেখা পাননি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

সূত্র : বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button