sliderস্থানীয়

আশুলিয়ায় শিক্ষককে হত্যাকারী সেই ছাত্র গাজীপুর থেকে গ্রেফতার

সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে (৩৫) ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার নগরহাওলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে জিতুকে গ্রেফতার করা হয়। জিতু ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছিল। তাকে গ্রেফতারে র‌্যাবের একাধিক টিম কাজ করেছে।
ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
এর আগে আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলছাত্রের বাবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আশুলিয়ায় মারধরের শিকার আহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার সোমবার সকালে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত শনিবার দুপুরে নিহত শিক্ষকের কর্মস্থল আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজে প্রকাশ্যে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিতু।
৩৫ বছর বয়সী এই শিক্ষক রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। এক ছাত্রী জিতুর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দিয়েছিলেন শিক্ষক উৎপলের কাছে। এ নিয়ে ওই ছাত্রকে শাসানোই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিক্ষক উৎপলের।
উল্লেখ্য, গত শনিবার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। শিক্ষক উৎপল কুমার মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু মাঠ থেকে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
উৎপলকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এনাম মেডিক্যালে আইসিউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই মামলা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button