
বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি দেশের মানুষকে করোনার ছোবল থেকে রক্ষা করার জন্য মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় মসজিদের পেশ ইমামরা তাদের খুতবায় বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মহামারি থেকে বাঁচতে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে হবে। যে চীন থেকে করোনাভাইরাসের সূত্রপাত তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের কাছেই ফিরে গিয়েছিলেন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে।
বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার যে নির্দেশনা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইমামরা তাদের খুতবায় বলেন, ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মোহাম্মাদ (সা.) কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কোনো এলাকায় কোনো রোগ মহামারি আকার ধারণ করলে ওই এলাকার মানুষদের বাইরে যেতে এবং বাইরের মানুষকে ওই এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করতেন।
তারা বলেন, ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এটি মেনে চললে করোনাভাইরাসের মতো কোনো ভাইরাসই ক্ষতি করতে পারবে না। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান রয়েছে। নামাজের আগে অজু করার বিধান রয়েছে। অজু করলে নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। এখন করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার জন্য বলা হচ্ছে। হালাল খাবার খেতে হবে।