বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এসআই মো: আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন আদালত ২ -এর বিচারক আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পিবিআই।
এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত ১৬ জুলাই শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়, যার নম্বর-৩, এই মামলায় আসামি এএসআই মো: আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন -এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পিবিআই আবু সাঈদ -এর মামলাটি তদন্ত করছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন রংপুরের পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন জানান, আমির আলী ও কনস্টেবল এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে রাখা হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় তাদেরকে মহানগর পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুর পৌনে ২টায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দুই হাত উঠিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে আবু সাঈদ বলেছিলেন, ওদের মারবেন না আমাকে গুলি করুন। এরপর পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান আবু সাঈদ।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফর পাড়া বাবুনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ।