sliderস্থানীয়

আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার: সবুজ আন্দোলন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র। বছরে কয়েকবার ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের শিকার বাংলাদেশ। মূলত সারা পৃথিবী জুড়ে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে কার্বন নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় জলবায়ুর বিরূপ আচরণ করছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ না করে দিন দিন আরো বৃদ্ধি করছে যার ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৩০ টি রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়েছে। দেখা দিয়েছে মরুময়তা, অনাবৃষ্টি-অতিবৃষ্টি।

আজ ৫ জুন (বুধবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল আদায়ের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” সামনে রেখে সারাদেশে সবুজ আন্দোলনের উদ্যোগে পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। তবে অপরিকল্পিত গাছ কর্তন ও বিদেশী প্রজাতির গাছ আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একশ্রেণীর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী হুমকির মুখে ফেলছে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপন জোরদার করে প্রজনন বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার। জাতিসংঘ ও শিল্পোন্নত দায়ী রাষ্ট্রগুলো কাছে বাংলাদেশের পক্ষে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম: (১) অনতিবিলম্বে সারা পৃথিবীর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় আনতে হবে। (২) নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। দেশের সমুদ্র উপকূল ও নদীর পাড় জুড়ে ‘উইন্ড পাওয়ার’ প্লান্ট স্থাপনের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে হবে। (৩) নেদারল্যান্ডের মতো দেশের দক্ষিণে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ ও মিঠা পানি সংরক্ষণে নদী ও দিঘি খনন করতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। (৪) সারাদেশে সামাজিক বনায়ন নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। (৫) জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য ৬ কোটি বাস্তুহারা মানুষের পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে দায়ী রাষ্ট্রকে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। (৬) বায়ু পানি মাটি দূষণ রোধে বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে হবে। (৭) প্রত্যেক বিভাগীয় শহর, জেলা ও পৌর এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বর্জ্য অপসারণ, ই—বর্জ্য রাখার জন্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ ও বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহাল মেহেদী, প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, এস এম ই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পাট গবেষক শামস আল মামুন, জাতীয় পার্টির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল, পরিচালক অভিনেতা উদয় খান, টেলি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহবায়ক মুর্শিদুল হক, সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button