sliderবিনোদন

আজ হাছন রাজার ১৬৬তম জন্মদিন

‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে.. কান্দে হাছন রাজার মন মুনিয়ায় রে..’। সেই মরমী কবি হাছন রাজার ১৬৬তম জন্মদিন আজ ২১ ডিসেম্বর, শনিবার। ১৮৫৪ সালের এই দিনে তিনি সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর তীর ঘেঁষা তেঘরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরীর তৃতীয় পুত্র হাছন রাজা। তার মায়ের নাম হুরমত বিবি। তাদের পূর্বপুরুষের আবাস ছিলো ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়, যারা ছিলেন হিন্দু। পরবর্তীতে তাদের এক পূর্বপুরুষ ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।
নিজের রচিত গানে নশ্বর জীবন, স্রষ্টা এবং নিজের কৃতকর্মের প্রতি অপরাধবোধের কথাই যেন বর্ণনা করেছেন হাছন রাজা। ১৯০৭ সালে তার রচিত ২০৬টি গানের সংকলন ‘হাছন উদাস’ প্রকাশিত হয়। এর বাইরে আরো কিছু গান ‘হাছন রাজার তিনপুরুষ’ এবং ‘আল ইসলাহ্’সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এই মরমী সাধক ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রীতে মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয় তাকে, যা মৃত্যুর আগেই প্রস্তুত করেছিলেন তিনি নিজে।
হাছন রাজা রচিত যেসব গান এখনো লোকমুখে ফেরে তার মধ্যে ‘লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালানা আমার’, ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে’, ‘একদিন তোর হইব রে মরণ রে হাছন রাজা’, ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে.. কান্দে হাছন রাজা মন মুনিয়ায় রে…’, ‘প্রেমের বান্ধন বান্ধরে দিলের জিঞ্জির দিয়া’, ‘রঙের বাড়ই রঙের বাড়ই রে’, ‘আমি না লইলাম আল্লাজির নাম রে’, ‘গুড্ডি উড়াইল মোরে, মৌলার হাতের ডুরি’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও অসংখ্য গানের রচয়িতা ও সুরকার তিনি।
মরমি এই সাধকের জন্মদিনে সুনামগঞ্জে তেমন কিছু আয়োজন করা হয়নি। তবে হাছন রাজা ট্রাস্ট সূত্র জানিয়েছে, তাদের আয়োজনে ৩ জানুয়ারি হাছন রাজার গান, গানের সঙ্গে নৃত্য ও হাছন রাজার ছবি বা সৃষ্টিকর্ম নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button