sliderআইন আদালতশিরোনাম

আজ আবরার হত্যা মামলার রায়

পতাকা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আজ দুপুর ১২টায় এ মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এই মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। ওই দিন আদালত রায় প্রস্তুত হয়নি জানিয়ে রায়ের নতুন তারিখ ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন।
রায় শুনতে কুষ্টিয়া থেকে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকায় এসেছেন। রায়ে মামলার সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন আবরারের বাবা। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, এবার যেন কোনোভাবেই রায় ঘোষণার তারিখ আর না পেছানো হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।
অপরদিকে, আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ছেলে হত্যার রায় শুনতে গত সোমবার রাতে ঢাকা এসেছি। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি। রায় শুনতে সকালে আদালতে যাবো। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাশা করছি। এবার যেন আর রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো না হয়।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয়জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন তিনজন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও আটটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ছয় আসামি হলেন ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ। এছাড়া পলাতক তিনজন হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার হলের কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আবরার ফাহাদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button