আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেই বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো আছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো আছে।
রোববার (২৯ মার্চ) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। আমরা চারটি কমিটি তৈরি করে দিই। এসব কমিটির মাধ্যমে সমস্ত কাজ চলছে। বাংলাদেশে করোনাপরিস্থিতি ভালো আছে।
বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ লাখ পিস ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামাদি (পিপিই) বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার করে আমরা পাচ্ছি। এপ্রিলে আরও ৫ লাখ পিস চলে আসবে। বেসরকারি হাসপাতালে পিপিই বিতরণ আমরা করি না। তাদেরগুলো তাদেরই ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। ঢাকায় ৩ হাজার বেড প্রস্তুত রয়েছে। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক মিডিয়া নিউজ করছে, আমরা পিপিই সংকটে আছি। আমাদের মেডিকেল ভেন্টিলেটর নাই। সবাইকে বলব এ ধরনের তথ্য সঠিক না। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা জানুয়ারি থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি জানান, আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০০ মেডিকেল ভেন্টিলেটর আছে। আমার জানার মতে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৭‘শ-এর মতো ভেল্টিলেটর আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনেক বড় মন্ত্রণালয়। এখানে অনেক লোক আসা যাওয়া করে। ফলে কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।
তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গরোধে) আছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গরোধে) নেই। অন্যরা যেভাবে আছে আমিও সেভাবে আছি। আমি করোনায় আক্রান্ত হইনি, আমি পরীক্ষা করিয়েছি।
এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয় দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮-ই থাকছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আর করোনায় দেশে মারা গেছেন পাঁচ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন।