sliderশিরোনামশীর্ষ সংবাদ

আকাশ সংস্কৃতির প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে ভাল ছবি নির্মাণ করতে হবে-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতির সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আকাশ সংস্কৃতি চলে এসেছে। বলতে গেলে সবকিছু এখন মুক্ত হয়ে গেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার চলে আসায় কোথাও কিছুই আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই। যে কারণে প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়ে গেছে। সে জন্য এ শিল্পের বিকাশে আরো যত্নবান হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন একটা বিষয় খেয়াল রাখা দরকার, আমাদের প্রদর্শনীগুলো যেন আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির হয়।’

আন্তর্জাতিকমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের মেধা মনন ও শক্তি আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছি। কাজেই এ ক্ষেত্রেও আমরা পিছিয়ে থাকব না।’

তিনি চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দেন।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি। তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মোট ২৮টি শাখায় বিজয়ীদের অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। বিশিষ্ট অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সেয়দ হাসান ইমাম এবং অভিনেত্রী রানী সরকার চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দফতর ও বিভাগের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী এবং শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগসহ চলচ্চিত্র শিল্পের ডিজিটালাইজেশনে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, তার সরকার চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দিয়ে যাচ্ছে, পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র এবং শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণেও সরকার অনুদান দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র এমন একটি গণমাধ্যম যেখানে মাটি ও মানুষের কথা, সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সচিত্র প্রতিফলন ঘটে। তাই নির্মাতাদের প্রতি আমার অনুরোধ, দর্শকরা ছবি দেখে যাতে কিছু শিখতে পারে এবং এগুলো প্রয়োগ করে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে সে দিকটিতে খেয়াল রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শুধু সরকারি পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। আমি আশা করি, দেশের বিত্তবানেরা এ শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button