
আগামীকাল রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ ডাক দেয় দলটি।
প্রথমে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখা হয়, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে আওয়ামী পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।’ তবে পরে তা সরিয়ে নেয়া হয়। পরে বিএনপির পক্ষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সারা দেশে নয়, আগামীকালের হরতাল শুধু ঢাকায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সারা দেশে হরতালের কথা জানানো হলো।
এদিকে, বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ পল্টন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা অবস্থান নেয়।
দু’দিক থেকে চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। মুহুমুর্হু ককটেলের শব্দ শোনা যায়।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর চার ঘণ্টা আগেই লক্ষাধিক নেতাকর্মীর চলে আসে।।
এর আগে, শুক্রবার রাত থেকেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে নেতাকর্মীরা। সেখানেই রাত্রিযাপন করে। সকাল থেকে নেতাকর্মী বাড়তে থাকে।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বক্তব্য রাখেন দলটির বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ।
এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ করেই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশের দুইদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। এর ফলে মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ কাকরাইল মোড় থেকে ধীরে ধীরে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে ছুঁড়তে পল্টনের দিকে এগিয়ে যায়। একসময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।