আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তার পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া যাবে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন দেশ পেয়েছি। কেউ কেউ ফ্যাসিবাদের সাথে আঁতাত করেছে, তাদের ফিরিয়ে আনার কথা বলছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না।’
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর ১০ সিটি কর্পোরেশন অফিসের উত্তর পাশে ফকির বাড়ি লেনে জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আহতদের সুস্থতা কামনায় ও শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘পরাজিত শক্তি যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়াগুলো পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা করেছে। একদিকে অপপ্রচার অন্যদিকে হামলা। এসব করে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। আমরা বলছি, দু’দেশের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। তাহলে ভারত কেন বিরূপ আচরণ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যারা বাংলাদেশী আছেন, আপনারা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।’
নুরুল হক আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে যে দানবীয় রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল তার পরিবর্তনের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছিল। রাতারাতি নির্বাচন হলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চাই। সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ সংস্কারকে এগিয়ে নিতে হবে। সবার অংশগ্রহণ থাকলে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে। আওয়ামী লীগের পতন হলেও নতুন করে একদল চাঁদা বাজের উদ্ভব হয়েছে। আপনারা নব্য চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন।’
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশকে ১৫ বছর ভারতের কাছে বর্গা দিয়েছিল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে, কিন্তু ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। আমরা এ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে ভারত ও শেখ হাসিনার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিব।’
এ সময় সভায় সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা প্রমুখ।