

ইয়ংমেনস ক্লাবে মদের বোতল।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, ‘অবৈধ এই ক্যাসিনোগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই অভিযান চলবে। জিরো টলারেন্স নীতিতে র্যাব এই অভিযান চালাচ্ছে।’

ক্যাসিনোতে র্যাবের অভিযান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ছত্রছায়ায় রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় শতাধিকের বেশি জুয়াচক্র বা ক্যাসিনো চলছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বৈঠকে যুবলীগের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ নেতারা। আমার কাছে সবার আমলনামা আছে।
গত শনিবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় যুবলীগ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে তুলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে সে। আমার সংগঠনে চাঁদাবাজ দরকার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনো সনাক্ত করতে মাঠে নামে। এরপরই থেকে শুরু হয় অভিযান। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সুত্র : ইত্তেফাক