রিও অলিম্পিক গেমসের জন্য ৫৫৫ জনের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক কমিটি। এর মধ্যে রেকর্ড ২৯২ নারী এ্যাথলেট ছাড়াও রয়েছে ২৬৩ জন পুরুষ এ্যাথলেট। এটাই কোন গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী এ্যাথলেটের অংশগ্রহণ।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত পুরুষদের তুলনায় বেশি নারী এ্যাথলেট অলিম্পিকে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে লন্ডন অলিম্পিকে ছিল ২৬৯ জন নারী ও ২৬১ জন পুরুষ। রিওতে যুক্তরাষ্ট্রের দলটি ২৭টি স্পোর্টসের ২৪৪টি ইভেন্টে ৩০৬টি পদকের জন্য লড়াইয়ে নামবে। গতকাল লস এ্যাঞ্জেলসের ভেনিস বিচে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রিও অলিম্পিকগামী যুক্তরাষ্ট্র দল ঘোষণা করা হয়।
এবারের দলে ১৯১ জনের আগে অলিম্পিকে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের ছয়বার, সাতজনের পাঁচবার, ১৯জনের চারবার, ৫০জনের তিনবার ও ১১২জনের দুইবার অলিম্পিকে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দলের সদস্যরা পূর্ববর্তী গেমসে ৬৮টি স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ৫৩জন ১৯টি ব্যক্তিগত ইভেন্টে লন্ডনে প্রাপ্ত নিজেদের স্বর্ণ ধরে রাখার মিশনে লড়াইয়ে নামবেন।
রিও অলিম্পিকে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা রয়েছে যথারীতি সাঁতার দলটির ওপরে। তারকা সাঁতারু মাইকেল ফেল্পসকে নিয়ে আরেকবার যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী হতে চায়। নিজের সংগ্রহে থাকা ২২টি পদকের মধ্যে এই সাঁতারুর কাছে রয়েছে ১৮টি অলিম্পিক স্বর্ণ। এছাড়া ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে চারটি স্বর্ণ পদকসহ ৬টি পদক পাওয়া এ্যাথলেট এ্যালিসন ফেলিক্সকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। এর পাশাপাশি চারবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন দুই টেনিস তারকা সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামস এবারও দলে রয়েছেন। পাঁচটি স্বর্ণ পদক জয় করে এই বোনদ্বয় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টেনিসে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়তে চান।
দলীয় ইভেন্টেও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের বাস্কেটবল দল টানা ষষ্ঠ স্বর্ণের লক্ষ্যে মাঠে নামবে। অন্যদিকে সব মিলিয়ে ১৫টিসহ টানা তৃতীয় স্বর্ণ পদক পেতে চায় পুরুষ বাস্কেটবল দল। প্রথমবারের মত নারী বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ফুটবল দলটির এবার লক্ষ্য অলিম্পিকের শিরোপা। যুক্তরাষ্ট্রের নারী রোয়িং দলটি ২০০৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত অলিম্পিক কিংবা বিশ্ব শিরোপা হাতছাড়া করেনি।
আর্টিস্টিক জিমন্যাসটিকসে যুক্তরাষ্ট্রের নারী দল আবারো শিরোপা পেতে চায়, গত চারটি অলিম্পিকে তাদের দখলেই ছিল স্বর্ণ পদকটি। বিচ ভলিভল দলটি নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। ১৯৯৬ সালে অলিম্পিকে প্রথমবারের মত এই ইভেন্টটি অন্তর্ভুক্ত হবার পর থেকে অন্য কেউই যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারেনি।