পতাকা ডেস্ক: আজ সারাদেশের জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। দিনব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলনে নির্ধারিত বিষয়েের উপর বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, লে. কর্ণেল (অবঃ) হেলাল উদ্দিন, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, গাজীপুরের সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, দিনাজপুর জেলা সদস্য সচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ,কুমিল্লা জেলা সমন্বয়ক মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কক্সবাজার জেলা আহবায়ক এনামুল হক শিকদার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর আমরা নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও বিগত স্বৈরাচারের পদলেহনকারী নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। আমরা আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছি। এখন আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। জেলা ও মহানগরীর নেতাদের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, ইউনিট পর্যন্ত সংগঠন বিস্তার করতে হবে। উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এবি পার্টিকে আগামীতে গণমানুষের দলে পরিনত করতে হবে।
আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, হাজারো শহীদের রক্ত ঝরেছে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অতীতের মতো জনগণের অধিকার লুন্ঠিত হওয়ার আর কোন সুযোগ আমরা সামনে দিতে পারিনা। এখন থেকে এবি পার্টির নেতাদের মাঠে ময়দানে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে হবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশ এখনো পুরো স্থিতিশীল নয়। পুরো পরিবেশের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। জেলা ও মহানগরীর নেতারাই পার্টির মুল খুটি। আপনারা আমাদের ঘোষণা বা নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে নিজস্ব গণমূখী কর্মসূচি গ্রহণ করুন। নিজ নিজ জেলা ও মহানগরীর জনসম্পৃক্ত সমস্যা সমুহকে চিহ্নিত করে তা নিয়ে কর্মসূচি পালন করুন। এবি পার্টিকে গণমানুষের পার্টিতে পরিনত করতে হলে জনগণের অধিকার ও সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে। ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা ও মহানগরীর সকল ইউনিটে শক্তিশালী সংগঠন তৈরী করতে হবে। সামনের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখা ও এবি পার্টির রাজনীতি নিয়ে দেয়া বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামতের নিয়ে বক্তব্য রাখার পর সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে আমরা ভুমিকা রাখার চেষ্টা করছি। এমন দেশ আমরা আর চাইনা যেখানে ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে হয়, অবৈধভাবে বর্ডার পার হতে গিয়ে জনরোষের শিকার হতে হয়। আমরা চাই দেশ হবে একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র, যেখানে সকল নাগরিক তার অধিকার পাবে, ন্যায় বিচার পাবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, সাঈদ নোমান, এবি লইয়ার্সের যুগ্মসচিব অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট উদয় তাসমির, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।