ঝালকাঠি প্রতিনিধি : অর্ধেক পোড়া ঘরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তীব্র শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার চামটা গ্রামের আ. কুদ্দুস তালুকদার। আর্থিক সঙ্কট ও দৈন্য দশার কারণে ঘরটি সংস্কার করাতে না পেরে শীতের ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে পলিথিনের বেড়া দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।
১৯ নভেম্বর দুপুর ২টায় সদর উপজেলার চামটা গ্রামে অগ্নিকান্ডে অর্ধেকেরও বেশি পুড়ে যায় আ.কুদ্দুস তালুকদারের বসত ঘরটি। দরিদ্র আ. কুদ্দুস তালুকদার এখন উপায়হীন হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে তীব্র শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কুদ্দুস তালুকদারের পুত্র সরকারী কলেজে¯স্নাতকে পড়ুুয়া ফেরদৌস রায়হান তাদেও এ অসহায়ত্বের কথা জানান।
বাসন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান জানান, গত ১৯ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ডাক চিৎকার দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দমকল বাহিনী আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে আগুনে ঘরের অর্ধেকেরও বেশি পরিমাণ পুড়ে যায়। যাতে ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবী করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। দরিদ্র পরিবারের অর্ধেক পুড়ে যাওয়া ঘর সংস্কার করতে না পেরে পলিথিনের বেড়া দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। তীব্র শীতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এখন ভুক্তভোগীরা।